১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১১
অফিস থেকে একটু আরলি বের হয়েছিলাম। স্যার তো ছুটিতে ছিলেন, আর তেমন কোন কাজ না থাকায় ৫-৩০ তেই অফিস থেকে বের হয়ে যাই। এখানে বলা বাহুল্য যে, আমার অফিস সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা এবং সরকারি ছুটির দিনেও। যাই হোক, অফিসের সামনে রিকসা না পাওয়ায় একটু হেঁটে গেলাম সামনের দিকে। দিলকুশা মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত হাঁটতে হল। সেখানে গিয়ে রাস্তা পার হবার জন্য দাঁড়াতেই হঠাৎ দেখি সামনে দৌঁড়াদৌঁড়ি হৈচৈ। আমি একটু ভয় পেলাম। কারণ গত ২ মাস যাবত মতিঝিলে আমরা কিছুদিন পরপরই মারামারি ঢিলাঢিলি দেখছি। অস্থিতিশীল শেয়ার বাজারের কারণে এই দৃশ্য এখন আমাদের চোখে সয়ে গেছে। কিন্তু কখনও সামনাসামনি পরিনি। পরতেও চাই না। তাই একটু হকচকিয়ে গেলাম।
দেখি, কিছু মানুষ দৌঁড়ে গিয়ে আরেকজনকে ধরার চেষ্টা করছে। বুঝলাম, শেয়ার বাজার না। ছিনতাইকারী। খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তারপরও এতটা সামনে থেকে কখনও দেখিনি, তাই আমিও এগিয়ে গেলাম, দেখি কিছু দেখা যায় কিনা! বাস থেকে একজনের মোবাইল টেনে নিয়ে পালাবার চেষ্টা করছিল। রাস্তায় চলাচলকারী আরও বেশ কিছু লোক দৌঁড়ে গেল তাকে ধরতে। বেচারা ছিনতাইকারী! এবার আর যায় কোথা! অল্প একটু দৌঁড়ে গিয়েই ধরা খেয়ে গেল। বাস থেকে লোকটি ছুটে এল। এসেই তার মোবাইল পেয়ে গেল। সে মোবাইল নিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলে চলে গেল।
কিন্তু ছিনতাইকারী! সে কোথায়? লোকজনকে মারতে দেখা যাচ্ছে না কেন?
ঘটনার আরও কাছাকাছি গেলাম। দেখলাম সবাই হাসাহাসি করছে। আর প্রশংসা করছে ছিনতাকারীর বুদ্ধির! ছিনতাইকারী পালিয়েছে! পালাই নি, বরং লোকজনই ছেড়ে দিয়েছে! কারণ ধরা খাওয়ার সাথে সাথে ছিনতাইকারী একটা খোলা ড্রেনের ভিতর লাফ দেয়। ড্রেনের পানি গায়ে মেখে একাকার করে ফেলে। এবার তাকে আর কে ধরে! যার মোবাইল, সে তো মোবাইল নিয়ে চলে গেছে। ছিনতাইকারী এবার প্রথমে হেঁটে, পরে দৌঁড়ে পালিয়েছে।
রেজওয়ান
যোগাযোগ- rezwaneye2000@gmail.com
অফিস থেকে একটু আরলি বের হয়েছিলাম। স্যার তো ছুটিতে ছিলেন, আর তেমন কোন কাজ না থাকায় ৫-৩০ তেই অফিস থেকে বের হয়ে যাই। এখানে বলা বাহুল্য যে, আমার অফিস সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা এবং সরকারি ছুটির দিনেও। যাই হোক, অফিসের সামনে রিকসা না পাওয়ায় একটু হেঁটে গেলাম সামনের দিকে। দিলকুশা মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত হাঁটতে হল। সেখানে গিয়ে রাস্তা পার হবার জন্য দাঁড়াতেই হঠাৎ দেখি সামনে দৌঁড়াদৌঁড়ি হৈচৈ। আমি একটু ভয় পেলাম। কারণ গত ২ মাস যাবত মতিঝিলে আমরা কিছুদিন পরপরই মারামারি ঢিলাঢিলি দেখছি। অস্থিতিশীল শেয়ার বাজারের কারণে এই দৃশ্য এখন আমাদের চোখে সয়ে গেছে। কিন্তু কখনও সামনাসামনি পরিনি। পরতেও চাই না। তাই একটু হকচকিয়ে গেলাম।
দেখি, কিছু মানুষ দৌঁড়ে গিয়ে আরেকজনকে ধরার চেষ্টা করছে। বুঝলাম, শেয়ার বাজার না। ছিনতাইকারী। খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তারপরও এতটা সামনে থেকে কখনও দেখিনি, তাই আমিও এগিয়ে গেলাম, দেখি কিছু দেখা যায় কিনা! বাস থেকে একজনের মোবাইল টেনে নিয়ে পালাবার চেষ্টা করছিল। রাস্তায় চলাচলকারী আরও বেশ কিছু লোক দৌঁড়ে গেল তাকে ধরতে। বেচারা ছিনতাইকারী! এবার আর যায় কোথা! অল্প একটু দৌঁড়ে গিয়েই ধরা খেয়ে গেল। বাস থেকে লোকটি ছুটে এল। এসেই তার মোবাইল পেয়ে গেল। সে মোবাইল নিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলে চলে গেল।
কিন্তু ছিনতাইকারী! সে কোথায়? লোকজনকে মারতে দেখা যাচ্ছে না কেন?
ঘটনার আরও কাছাকাছি গেলাম। দেখলাম সবাই হাসাহাসি করছে। আর প্রশংসা করছে ছিনতাকারীর বুদ্ধির! ছিনতাইকারী পালিয়েছে! পালাই নি, বরং লোকজনই ছেড়ে দিয়েছে! কারণ ধরা খাওয়ার সাথে সাথে ছিনতাইকারী একটা খোলা ড্রেনের ভিতর লাফ দেয়। ড্রেনের পানি গায়ে মেখে একাকার করে ফেলে। এবার তাকে আর কে ধরে! যার মোবাইল, সে তো মোবাইল নিয়ে চলে গেছে। ছিনতাইকারী এবার প্রথমে হেঁটে, পরে দৌঁড়ে পালিয়েছে।
রেজওয়ান
যোগাযোগ- rezwaneye2000@gmail.com
:)
ReplyDelete