"গতকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বড় ধরনের দরপতন ও বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভের পর আজও ডিএসইতে দ্রুত গতিতে কমছে সাধারণ মূল্যসূচক। লেনদেনের শুরুর সাত মিনিটের দিকে সাধারণ সূচক ৩৩৩ পয়েন্ট কমে যায়। এর পরও দ্রুত কমতে থাকে সাধারণ সূচক। বেলা সোয়া দুইটার দিকে সাধারণ সূচক ৪৫৭ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রায় দুই মাস ধরে সূচক পতনের ফলে ডিএসইতে সাধারণ সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। এতে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। এ সময়ে মোট ২৪৭ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে বেড়েছে দুইটির ও কমেছে ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ৫৯৩ কোটি টাকার।"
প্রথম আলো, অনলাইন প্রতিবেদক, ১৪-০২-২০১১
সুত্র : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-14/news/131410
বিগত দুই মাসের মুল্য পতনের ধারা অব্যাহত রেখে আজও শেয়ার বাজারে মুল্য সূচক কমেছে ৩৩৩ পয়েন্ট। লেনদেন শুরু হবার মাত্র সাত মিনিটের মাথায়ই ঘটে এই ঘটনা, যা বিগত দুই মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৬০০০ পয়েন্টের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই নেমে আসছে সূচক আর রাস্তায় নামছে বিক্ষুদ্ধ বিনিয়োগকারীরা। তারা করছে ভাংচূর, জ্বালাচ্ছে আগুন, দিচ্ছে শ্লোগান মিছিল।
এই হচ্ছে বর্তমানে শেয়ার বাজারের অবস্থা।
এই অবস্থা সম্পর্কে দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী দুজন মানুষের বক্তব্য শুনলে হিমশিম খেতে হয়। আমি বলছি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কথা। তারা লাগাতার এই দরপতনের কারণ হিসেবে যে ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তাদের অজ্ঞতাই ফুটে উঠছে। অর্থমন্ত্রীর ক্রমাগত আশ্বাসের পরে বিনিয়োগকারীরা যখনই শেয়ার বাজারের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকায়, তখনই আবার তারা মুল্য পতনের ফলে ধরাশায়ী হয়ে ফেরত আসে। তার মতে, বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতাই এই পতনের মূল কারণ।
আর রয়েছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তার মতে, দেশের বর্তমান এই অবস্থার জন্য দেশের বিরোধী দল দায়ী। তার মতে, বিরোধি দল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, তারাই দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী, তারাই আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্য দায়ী। প্রধানমন্ত্রী পারলে এটাই বলে দেন যে, দেশের সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ভুমিকম্পের জন্যও বিরোধী দলই দায়ী। তাই-ই যদি হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটা প্রশ্ন, বিরোধী দল ক্ষমতায় না থেকেই যদি এত কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আপনারা ক্ষমতায় বসে কি তাহলে ভে*** ভাজছেন?
এখানে বলা বাহুল্য যে, আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না, অথবা কারও সমর্থনও করি না। আমি একজন সাধারণ জনগণ হিসেবে যে সরকার দেশের জনগণের জন্য ভালো কাজ করবে তার সমর্থন করি। কিন্তু একটা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আরও সংযত ও জ্ঞ্যানগর্ভ কিছু বক্তব্য আশা করি। তাদের দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং মনমালিন্য থাকবেই। তাই বলে প্রধানমন্ত্রী এইসব বিষয়ে এই ধরনের মন্তব্য না করলেই পারেন। এইসব কথা বলার জন্য তার দলের অন্য সদস্য আছেন, যাদের মুখে এইসব কথা মানায়; ওনার মুখে নয়।
রেজওয়ান
যোগাযোগ - rezwaneye2000@gmail.com
প্রথম আলো, অনলাইন প্রতিবেদক, ১৪-০২-২০১১
সুত্র : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-14/news/131410
বিগত দুই মাসের মুল্য পতনের ধারা অব্যাহত রেখে আজও শেয়ার বাজারে মুল্য সূচক কমেছে ৩৩৩ পয়েন্ট। লেনদেন শুরু হবার মাত্র সাত মিনিটের মাথায়ই ঘটে এই ঘটনা, যা বিগত দুই মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৬০০০ পয়েন্টের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই নেমে আসছে সূচক আর রাস্তায় নামছে বিক্ষুদ্ধ বিনিয়োগকারীরা। তারা করছে ভাংচূর, জ্বালাচ্ছে আগুন, দিচ্ছে শ্লোগান মিছিল।
এই হচ্ছে বর্তমানে শেয়ার বাজারের অবস্থা।
এই অবস্থা সম্পর্কে দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী দুজন মানুষের বক্তব্য শুনলে হিমশিম খেতে হয়। আমি বলছি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কথা। তারা লাগাতার এই দরপতনের কারণ হিসেবে যে ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তাদের অজ্ঞতাই ফুটে উঠছে। অর্থমন্ত্রীর ক্রমাগত আশ্বাসের পরে বিনিয়োগকারীরা যখনই শেয়ার বাজারের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকায়, তখনই আবার তারা মুল্য পতনের ফলে ধরাশায়ী হয়ে ফেরত আসে। তার মতে, বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতাই এই পতনের মূল কারণ।
আর রয়েছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তার মতে, দেশের বর্তমান এই অবস্থার জন্য দেশের বিরোধী দল দায়ী। তার মতে, বিরোধি দল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, তারাই দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী, তারাই আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্য দায়ী। প্রধানমন্ত্রী পারলে এটাই বলে দেন যে, দেশের সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ভুমিকম্পের জন্যও বিরোধী দলই দায়ী। তাই-ই যদি হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটা প্রশ্ন, বিরোধী দল ক্ষমতায় না থেকেই যদি এত কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আপনারা ক্ষমতায় বসে কি তাহলে ভে*** ভাজছেন?
এখানে বলা বাহুল্য যে, আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না, অথবা কারও সমর্থনও করি না। আমি একজন সাধারণ জনগণ হিসেবে যে সরকার দেশের জনগণের জন্য ভালো কাজ করবে তার সমর্থন করি। কিন্তু একটা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আরও সংযত ও জ্ঞ্যানগর্ভ কিছু বক্তব্য আশা করি। তাদের দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং মনমালিন্য থাকবেই। তাই বলে প্রধানমন্ত্রী এইসব বিষয়ে এই ধরনের মন্তব্য না করলেই পারেন। এইসব কথা বলার জন্য তার দলের অন্য সদস্য আছেন, যাদের মুখে এইসব কথা মানায়; ওনার মুখে নয়।
রেজওয়ান
যোগাযোগ - rezwaneye2000@gmail.com
No comments:
Post a Comment