অনেকক্ষণ ধরেই দোড়াচ্ছি, সাথে আরও দুইজন দোড়াচ্ছে, তাদের চেহারা ঠিক মনে করতে পারছি না, কেন যে দোড়াচ্ছি বুঝে উঠার সময় নাই... তবে এইটুকু ধরতে পারছিলাম যে কিছু একটা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি... ভয়ে, আতঙ্কে! অন্ধকার রাতে ভাঙ্গা বাড়ির ভিতর দিয়ে, পুরনো বারান্দা দিয়ে, আন্ডার-কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং-এর নিচ দিয়ে সে কি দৌড়, আশেপাশে আর কেউ নেই, শুধু আমরাই দৌড়াচ্ছি, যা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি তাও দেখা যাচ্ছে না, তারপরও দৌড়াচ্ছি...
দৌড়াতে দৌড়াতে এসে পড়লাম একটা বিশাল খোলা জায়গায়, এখানে আবার দিনের ঝকঝকে আলো, বেশ কিছু বাচ্চা-কাচ্চা খেলা করছে মাঠে, অনেকক্ষণ পর কিছু মানুষ দেখলাম, প্রাণের সঞ্চার হল... এদের দেখে একটু শান্তি পাচ্ছিলাম মাত্র ঠিক এমন সময় আমার সাথের দুইজন আবার দৌড় শুরু করল... তাদের দেখে আমিও দৌড়, সেই মাঠের পাশেই ছিল একটা ডোবার মত জায়গা, পানি আছে, কালো পানি, সেখানে মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে, তার পাশ দিয়েই একটা বাউন্ডারি দেয়াল, সেই দেয়ালের উপর দিয়ে চড়ে জানালা দিয়ে ঢুকে গেলাম আরেকটা পুরনো বাড়ির ভিতরে...
একটা খালি রুম, দেখে মনে হল কিছুকক্ষণ আগে এইখানে থেকেই দৌড় শুরু করেছিলাম, এই রুমেও কেউ নেই, কিছু ভাঙ্গাচোরা আসবাব আর একটা খাট, খাটের উপর বেশকিছু প্লেট সাজানো, সেই প্লেটগুলোতে রাখা কিছু বার্গার (!)... বার্গারগুলোতে আবার পিঁপড়া আর মাছি চড়ে বেড়াচ্ছে, ধরাই যাচ্ছে না, তারপরও ক্ষিদে বোধহয় এতই ছিল যে সেখান থেকেই একটা হাতে নিয়ে খেতে শুরু করলাম... এরপর আবার পাশের আরেকটা জানালা দিয়ে বের হয়ে এসে পড়লাম একটা প্যাসেজে... এখানে আবার অন্ধকার, দূরে কিছু লাইট টিমটিম করে জ্বলছে, তাতে কিছু আবছা বোঝা যাচ্ছে, কোথাও কেউ নেই, কোন সাড়াশব্দ নেই... আমরা কিছুদূর এগোতেই দেখলাম একজন মানুষ, একটা মেয়ে, হাতে পানির একটা পাত্র (জগ বা গ্লাস, খেয়াল নেই)... আমাদের দেখেই আঁতকে উঠে, কিন্তু কোন আওয়াজ করে না...
প্যাসেজের এই জায়গাটা একটা চার-রাস্তার মাথার মত, চারদিক থেকে চারটা প্যাসেজ এসে এই জায়গাটায় এক হয়ে গেছে এবং এইখানেই চারদিক থেকে চারটা গেট লাগানো... আমরা ছিলাম গেটের একপাশে আর মেয়েটা ছিল আরেকপাশে... আমরা কেন জানি খুব সাবধানে কোন আওয়াজ ছাড়া চেষ্টা করে যাচ্ছি গেটটা পার করে অপর পাশে যাওয়ার, একজন গেটের নিচ দিয়ে চলেও যেতে পারল, আমরা বাকি দুইজন দাঁড়িয়ে রইলাম, ভিন্ন উপায় খুঁজছি, ঠিক এমন সময় মেয়েটার হাতের পানির পাত্রটা পড়ে গেল আর বিকট একটা শব্দ হল...
একটা পিন-ড্রপ সাইলেন্স ভেঙ্গে গিয়ে শব্দটা ছাপিয়ে গেল পুরো প্যাসেজের এপাশ থেকে ওপাশ, আর অদূরেই আমরা দেখতে পেলাম বেশ কিছু মানুষ জটলা করে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ছিল... এই আওয়াজে তাদের সবাই আমাদের দিকে ঘুরে তাকালো, আর মুহুর্তের মধ্যেই সবাই আমাদের দিকে ধেয়ে আসতে লাগল... কেন আসছে বুঝে উঠার আগেই দেখি এর মধ্যে একজন আমার এক সাথীকে ধরে ফেলল, আর ঠিক তখনি আমার সামনেও আরেকজন দাঁড়ানো, আমার চাইতে বেশি লম্বা আর চশমা পরা, আমার দিকে তাকিয়ে, মুখ দিয়ে অদ্ভুত সব আওয়াজ করছে... ঠিক পাশেই আরেকজন এগিয়ে আসে আমার দিকে, আমার চাইতে লম্বায় ছোট, কিন্তু অদ্ভুত রকমের এগ্রেশন চোখে মুখে...
আমি ভয় পাব নাকি দৌড় দিব বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ আবার লম্বা মানুষটার দিকে তাকিয়ে দেখি সেইটা একটা zombie!!!... ধুর! এইটা একটা স্বপ্ন ছিল! আর তখনই ঘুমটা ভেঙ্গে গেল... ঘুম ভেঙ্গে দেখি রাত রাজে ৩টা, বাইরে মেঘের ডাকে আতংক জেগে উঠে মনে... রুম থেকে বের হয়ে কিছুকক্ষণ বারান্দায় হাটাহাটি করলাম, ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদার, বাতাসটাও ভালো লাগছে... মুহুর্তের মধ্যেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হল, ঝুম বৃষ্টি আর সাথে মেঘের গর্জন...
এরই মধ্যে বিছানায় শুয়ে শুয়ে এই কাহিনীটা লিখতে গিয়ে হঠাৎ মনে হল একেবারে শেষে যে মানুষ দুইজনের কথা বললাম, তাদের চেহারা কিন্তু আমার মনে আছে, আর আমি এইটা ভেবেই অবাক হচ্ছি যে এরাই কেন!? এক্কেবারেই irrelevant!?
দৌড়াতে দৌড়াতে এসে পড়লাম একটা বিশাল খোলা জায়গায়, এখানে আবার দিনের ঝকঝকে আলো, বেশ কিছু বাচ্চা-কাচ্চা খেলা করছে মাঠে, অনেকক্ষণ পর কিছু মানুষ দেখলাম, প্রাণের সঞ্চার হল... এদের দেখে একটু শান্তি পাচ্ছিলাম মাত্র ঠিক এমন সময় আমার সাথের দুইজন আবার দৌড় শুরু করল... তাদের দেখে আমিও দৌড়, সেই মাঠের পাশেই ছিল একটা ডোবার মত জায়গা, পানি আছে, কালো পানি, সেখানে মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে, তার পাশ দিয়েই একটা বাউন্ডারি দেয়াল, সেই দেয়ালের উপর দিয়ে চড়ে জানালা দিয়ে ঢুকে গেলাম আরেকটা পুরনো বাড়ির ভিতরে...
একটা খালি রুম, দেখে মনে হল কিছুকক্ষণ আগে এইখানে থেকেই দৌড় শুরু করেছিলাম, এই রুমেও কেউ নেই, কিছু ভাঙ্গাচোরা আসবাব আর একটা খাট, খাটের উপর বেশকিছু প্লেট সাজানো, সেই প্লেটগুলোতে রাখা কিছু বার্গার (!)... বার্গারগুলোতে আবার পিঁপড়া আর মাছি চড়ে বেড়াচ্ছে, ধরাই যাচ্ছে না, তারপরও ক্ষিদে বোধহয় এতই ছিল যে সেখান থেকেই একটা হাতে নিয়ে খেতে শুরু করলাম... এরপর আবার পাশের আরেকটা জানালা দিয়ে বের হয়ে এসে পড়লাম একটা প্যাসেজে... এখানে আবার অন্ধকার, দূরে কিছু লাইট টিমটিম করে জ্বলছে, তাতে কিছু আবছা বোঝা যাচ্ছে, কোথাও কেউ নেই, কোন সাড়াশব্দ নেই... আমরা কিছুদূর এগোতেই দেখলাম একজন মানুষ, একটা মেয়ে, হাতে পানির একটা পাত্র (জগ বা গ্লাস, খেয়াল নেই)... আমাদের দেখেই আঁতকে উঠে, কিন্তু কোন আওয়াজ করে না...
প্যাসেজের এই জায়গাটা একটা চার-রাস্তার মাথার মত, চারদিক থেকে চারটা প্যাসেজ এসে এই জায়গাটায় এক হয়ে গেছে এবং এইখানেই চারদিক থেকে চারটা গেট লাগানো... আমরা ছিলাম গেটের একপাশে আর মেয়েটা ছিল আরেকপাশে... আমরা কেন জানি খুব সাবধানে কোন আওয়াজ ছাড়া চেষ্টা করে যাচ্ছি গেটটা পার করে অপর পাশে যাওয়ার, একজন গেটের নিচ দিয়ে চলেও যেতে পারল, আমরা বাকি দুইজন দাঁড়িয়ে রইলাম, ভিন্ন উপায় খুঁজছি, ঠিক এমন সময় মেয়েটার হাতের পানির পাত্রটা পড়ে গেল আর বিকট একটা শব্দ হল...
একটা পিন-ড্রপ সাইলেন্স ভেঙ্গে গিয়ে শব্দটা ছাপিয়ে গেল পুরো প্যাসেজের এপাশ থেকে ওপাশ, আর অদূরেই আমরা দেখতে পেলাম বেশ কিছু মানুষ জটলা করে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ছিল... এই আওয়াজে তাদের সবাই আমাদের দিকে ঘুরে তাকালো, আর মুহুর্তের মধ্যেই সবাই আমাদের দিকে ধেয়ে আসতে লাগল... কেন আসছে বুঝে উঠার আগেই দেখি এর মধ্যে একজন আমার এক সাথীকে ধরে ফেলল, আর ঠিক তখনি আমার সামনেও আরেকজন দাঁড়ানো, আমার চাইতে বেশি লম্বা আর চশমা পরা, আমার দিকে তাকিয়ে, মুখ দিয়ে অদ্ভুত সব আওয়াজ করছে... ঠিক পাশেই আরেকজন এগিয়ে আসে আমার দিকে, আমার চাইতে লম্বায় ছোট, কিন্তু অদ্ভুত রকমের এগ্রেশন চোখে মুখে...
আমি ভয় পাব নাকি দৌড় দিব বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ আবার লম্বা মানুষটার দিকে তাকিয়ে দেখি সেইটা একটা zombie!!!... ধুর! এইটা একটা স্বপ্ন ছিল! আর তখনই ঘুমটা ভেঙ্গে গেল... ঘুম ভেঙ্গে দেখি রাত রাজে ৩টা, বাইরে মেঘের ডাকে আতংক জেগে উঠে মনে... রুম থেকে বের হয়ে কিছুকক্ষণ বারান্দায় হাটাহাটি করলাম, ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদার, বাতাসটাও ভালো লাগছে... মুহুর্তের মধ্যেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হল, ঝুম বৃষ্টি আর সাথে মেঘের গর্জন...
এরই মধ্যে বিছানায় শুয়ে শুয়ে এই কাহিনীটা লিখতে গিয়ে হঠাৎ মনে হল একেবারে শেষে যে মানুষ দুইজনের কথা বললাম, তাদের চেহারা কিন্তু আমার মনে আছে, আর আমি এইটা ভেবেই অবাক হচ্ছি যে এরাই কেন!? এক্কেবারেই irrelevant!?
No comments:
Post a Comment