Friday, November 25, 2011

একটা কাক!

যদিও বৃহস্পতিবার, তারপরও বাসায় ছিলাম। ঘুম ভাঙল সোয়া ১১টায়। ঘুম ভেঙ্গে মোবাইলের দিকে চোখ যেতেই দেখলাম দুইটা রিমাইন্ডার। একটা জরুরী ফোন করার দরকার ছিল ১১টায়। তাড়াতাড়ি উঠে ফোন করলাম। কথা বলতে বলতে গেলাম বারান্দায়। আমার অভ্যাস হাঁটতে হাঁটতে কথা বলা। 

কথা বলা শেষ করে রাস্তার দিকে তাকাতেই দেখলাম আমাদের বাসার সামনে গেটের ভিতরে এলাকার কিছু পোলাপান হৈচৈ করছে। তাকিয়ে দেখলাম একটা কাক বসে আছে, আর সব পিচ্চিগুলা ওইটাকে ঘিরে আছে। একজন দেখি লাঠি নিয়ে এসেছে খোঁচাখুঁচি করবে মনে হয়। আমি দিলাম এক ধমক। সব পিচ্চি দৌড়। কাকটি তারপরও বসে আছে। উড়ে যাচ্ছে না।

নিচে নামলাম। দেখি কাকটা আহত। একটা পা আর সম্ভবত গলা। উড়তে চেয়েও পারছে না। আমি কাকটাকে একটু সাইডে নিয়ে গেলাম। একটা কোনে থাকার জায়গা দিলাম যাতে আর কেউ খোঁচাখুঁচি করতে না আসে। পানি দিলাম। একটু একটু করে অনেকখানি পানি খেয়ে ফেলল। বুঝলাম ক্ষুধার্ত ছিল। খাবার দিলাম, তেমন একটা খেল না। কিন্তু বারবার পানি খাচ্ছে। আমি ওই অবস্থায় রেখে চলে আসলাম।

একটু পর দেখি কয়েকটা কাক একসাথে ডাকাডাকি করছে। বারান্দায় গিয়ে দেখি তিন চারটা কাক এসে এসে দেখে যাচ্ছে  আহত কাকটিকে। এর মধ্যে একটা কাক উপরে তারে বসে মুখে করে খাবার এনে নিচে বসা কাকটির দিকে ফেলছে। মানে কাকগুলো তাদের আহত বন্ধুকে অথবা পরিবারের সদস্যকে সেবা করছে।

আমি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ভালো লাগল। 

চড়ুই বিপত্তি (ফলো-আপ)

সেপ্টেম্বর ২২, ২০১০ তারিখে লেখা আমার একটা ব্লগে আমি একবার চড়ুইয়ের কাহিনী উল্ল্যেখ করেছিলাম (লিঙ্কটা দিয়ে দিলাম- http://diary-rezwan.blogspot.com/2010/09/blog-post_22.html)। তারই ফলোআপ হিসেবে এই পোস্ট।

আজ (বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৪, ২০১১) বিকেলে খেয়াল করলাম আমার বারান্দায় আবারো চড়ুইয়ের আনাগোনা শুরু হয়েছে। কিচির মিচির শুনতে আমার ভালোই লাগে। আমার খুব ভালো লাগল যে এরা আবার ফিরে এসেছে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম এরা আমার গাছে চড়ে বারান্দায় ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে থাকায় ভিতরে আসছে না। তাই আমি ভিতরে চলে গেলাম, আর লুকিয়ে ওদের কান্ড দেখতে লাগলাম।

আমি দেখলাম, প্রায় বছর খানেক আগে আমার গাছ বাঁচানোর জন্য আমি চড়ুইয়ের যেই বাসাটা ঝুলিয়ে ছিলাম, তাতে বসে আছে এক চড়ুই। আর আরেকটা বসে আছে আমার গাছের ডালে। দেখে ভালো লাগল। আমার এতদিনের শখ ছিল যে খাঁচায় বন্দি না করে কিভাবে পাখি পোষা যায়, আমার মনে হয় সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

আমি খাবার দিলাম। ওরা সেই খাবার খুটিয়ে খেল। তারপর কিচির মিচির করতে করতে বাসায় ঢুকে গেল।

আহ! শান্তি! দেখে ভালো লাগল! আর তাই এই ফলোআপ পোস্টটা লিখলাম।