যদিও বৃহস্পতিবার, তারপরও বাসায় ছিলাম। ঘুম ভাঙল সোয়া ১১টায়। ঘুম ভেঙ্গে মোবাইলের দিকে চোখ যেতেই দেখলাম দুইটা রিমাইন্ডার। একটা জরুরী ফোন করার দরকার ছিল ১১টায়। তাড়াতাড়ি উঠে ফোন করলাম। কথা বলতে বলতে গেলাম বারান্দায়। আমার অভ্যাস হাঁটতে হাঁটতে কথা বলা।
কথা বলা শেষ করে রাস্তার দিকে তাকাতেই দেখলাম আমাদের বাসার সামনে গেটের ভিতরে এলাকার কিছু পোলাপান হৈচৈ করছে। তাকিয়ে দেখলাম একটা কাক বসে আছে, আর সব পিচ্চিগুলা ওইটাকে ঘিরে আছে। একজন দেখি লাঠি নিয়ে এসেছে খোঁচাখুঁচি করবে মনে হয়। আমি দিলাম এক ধমক। সব পিচ্চি দৌড়। কাকটি তারপরও বসে আছে। উড়ে যাচ্ছে না।
নিচে নামলাম। দেখি কাকটা আহত। একটা পা আর সম্ভবত গলা। উড়তে চেয়েও পারছে না। আমি কাকটাকে একটু সাইডে নিয়ে গেলাম। একটা কোনে থাকার জায়গা দিলাম যাতে আর কেউ খোঁচাখুঁচি করতে না আসে। পানি দিলাম। একটু একটু করে অনেকখানি পানি খেয়ে ফেলল। বুঝলাম ক্ষুধার্ত ছিল। খাবার দিলাম, তেমন একটা খেল না। কিন্তু বারবার পানি খাচ্ছে। আমি ওই অবস্থায় রেখে চলে আসলাম।
একটু পর দেখি কয়েকটা কাক একসাথে ডাকাডাকি করছে। বারান্দায় গিয়ে দেখি তিন চারটা কাক এসে এসে দেখে যাচ্ছে আহত কাকটিকে। এর মধ্যে একটা কাক উপরে তারে বসে মুখে করে খাবার এনে নিচে বসা কাকটির দিকে ফেলছে। মানে কাকগুলো তাদের আহত বন্ধুকে অথবা পরিবারের সদস্যকে সেবা করছে।
আমি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ভালো লাগল।
No comments:
Post a Comment