Monday, September 3, 2012

জানি না কি হল... ?!

গভীর রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যায়!
জেগে উঠলাম।
কেন জানি খুব ভয় মনের ভিতর অনুভব করলাম!
ঘড়ির দিকে তাকালাম; ৩:৩০টা বাজে।
বিছানায় উঠে বসলাম।

আলোটা জ্বালাতেই খেয়াল করলাম বিছানার পাশের জানালাটা খোলা! একবার মনে হল শুয়ে পড়ি। কেন জানি পারলাম না। কি যেন একটা চিন্তা মনে জেগে উঠল! ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।

এই প্রথম অনেক বছর পর একটা অজানা ভয় পেয়ে বসল মনে। আমি জানালার দিকে তাকালাম। এগিয়ে যেতে সাহস পেলাম না। আবার জানালা খোলা অবস্থায় ঘুমাতে যেতে সাহস করছিল না। ধীরে ধীরে জানালার দিকে এগুলাম।

বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার; সাথে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
আমি আসতে করে হাতটা বাড়ালাম জানালার দিকে।
আবারও ভয় হল মনে!

তাড়াহুড়া করে জানালাটা বন্ধ করে দ্রুত সরে আসলাম আর বিছানায় বসে পড়লাম। খানিক্ষণ চিন্তা করার চেষ্টা করলাম যে আসলে কি হয়েছিল! কিন্তু কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না।

এই ধরনের কোন অজানা ভয় আমি আগে কখনও পাইনি! একইসাথে খুবই অবাক হলাম এবং ভয়ও পেলাম। জানি না কি হয়েছিল! তারপর ঘুমাতে গেলাম...

Sunday, August 5, 2012

নতুন প্রজাতির ডেঙ্গু!

সাধারণত ডেঙ্গু-জ্বর কেমন হয়? প্রচন্ড জ্বর থাকে, সাথে বমি ভাব, গায়ে র‍্যাশ আর তার সাথে রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে যায়। এই লক্ষণ গুলো খুবই সাধারন এবং সবার মধ্যে দেখা যায়, যাদের ডেঙ্গু হয়।

কিন্তু আমার ক্ষেত্রে হল ভিন্ন জিনিষ! আমার জ্বর শেষ আরও ২দিন আগে। বমি ভাবও চলে গেছে। খাওয়া দাওয়া ঠিকমতই করতে পারছি। এরমধ্যে ডাক্তারের অনুরোধে রক্ত পরীক্ষা করতে গেলাম। দেখি আমার প্লাটিলেট কমে গেছে। সাধারণত থাকার কথা ১৫০,০০০ এর চাইতে বেশি, আমার ছিল ৪০,০০০।

এত কমে যাওয়ার পরেও আমি দিব্যি ঘরে ছিলাম, নিজেই খাওয়া দাওয়া করলাম। আল্লাহর রহমতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় নাই। একটা স্যালাইন দিয়েই কাজ হয়ে গেছে। একদিনেই মাশাআল্লাহ প্লাটিলেটও উপরে উঠে গেছে। জ্বর তো একেবারেই ছিল না। 

Saturday, June 16, 2012

আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখর বাদল দিনে...

পৃথিবীতে এখন জলবায়ু সংকট চলছে। সারা বিশ্বের জলবায়ু এখন বিপর্যয়ের শিকার। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে নয়। বরং বাংলাদেশই সবার আগে এর শিকার হবে বা হচ্ছে!

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গতকাল থেকে আষাঢ় মাস শুরু হয়েছে। এইবছর যেভাবে শীত, গরম সময়মত আসেনি, সময়ের আগে পরে এসেছে; তাতে ধারণা করা হচ্ছিল যে এইবার বর্ষাও দেরি করে শুরু হবে। গতকালের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আরও ৩-৪ দিন পর বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু আজ সকাল থেকে ঘন্টাখানেক বৃষ্টি হয়ে গেছে। আহ! চরম গরমের পর শান্তির ধারা বয়ে চলেছে।

এই বছর আমাদের দেশে যা গরম পড়েছে তার সাথে মরুভুমির দেশে জেদ্দার তাপমাত্রার পার্থক্য ক্ষেত্রবিশেষে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এই ভয়াবহ গরমের পর এই অধর বর্ষা অবশ্যই আশীর্বাদ স্বরুপ। 

বৃষ্টি দেখেই সকাল থেকে একটা গান মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে-

আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখর বাদল দিনে
জানি নে জানি নে, কিছুতে কেন যে মন লাগে না...
আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখর বাদল দিনে...